আপডেটের সময়ঃ ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
চট্টগ্রাম নগরের খতিবেরহাট এলাকার সনামধন্য অরবিট গ্রামার স্কুল এন্ড কলেজের মহান বিজয় দিবসের আলোচনা, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ, বার্ষিক ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কলেজ ক্যাম্পাসে এক বর্ণিল অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে প্রতি বছরের মত এবারও এই আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অরবিট গ্রামার স্কুল এন্ড কলেজ সুনামের সাথে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ব্যবস্থায় পাঠদানের আয়োজন করেছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থীরা আজ সারাদেশের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাফল্যের সাথে লেখাপড়া করছে। অরবিট গ্রামার স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের সুকুমার বৃত্তির বিকাশে বছরব্যাপী যেসব আয়োজন করে তা অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়।
সভাপতির বক্তব্যে অরবিট গ্রামার স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শফিক উদ্দীন বলেন, দীর্ঘ দুই দশক ধরে আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে প্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছি। করোনা মহামারীসহ নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। অরবিট গ্রামার স্কুল এন্ড কলেজকে ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সবকিছু আমরা করেছি। আশাকরি ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের জন্য আরো উন্নত ব্যবস্থা করতে পারব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পরিচালক লিকসন চৌধুরী বলেন, প্রতিটি শিশু অপার সম্ভাবনা নিয়ে এই পৃথিবীতে আসে। আমাদের কাজ হলো শিশুর সম্ভাবনাকে পিছন থেকে টেনে না ধরে তা বিকাশে সহায়তা করা। শিশুর প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো পরিবার, পরিবার ও পরিবার। শিশুরা যদি পরিবারের, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ও সমাজের কাছ থেকে প্রতিবন্ধকতা না পেয়ে সহযোগিতা পায় তাহলে অবশ্যই সফল হবে।
বিশেষ অতিথি পরিবেশবাদী সংগঠন পিপল’স ভয়েস এর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আতিকুর রহমান বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীর বাংলাদেশ। তাদের লেখাপড়ার পাশাপাশি পরিবেশ সচেতন হতে হবে। শিশুরা খেলাধুলার সুযোগ পেলে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিকশিত হতে পারবে। আরেকটি জরুরী বিষয় শিশুদের খাদ্যাভাসের পরিবর্তন। সুষম খাদ্য পেলে শারীরিক বিকাশ নিশ্চিত হবে। অরবিট গ্রামার স্কুল এন্ড কলেজ দীর্ঘ দুই দশক ধরে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে শিশুদের বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে। শিশুদের সম্ভাবনার বিকাশে নানা আয়োজন করে বছরব্যাপী। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাফল্য কামনা করছি।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক সাংবাদিক মিঠুন চৌধুরী বলেন, শিশুদের প্রথম ও সবচেয়ে বড় শিক্ষক মা। বিভিন্ন পেশায় আজ যত সফল মানুষদের দেখি তাদের সবার প্রথম শিক্ষক তাদের মা। অরবিট গ্রামার স্কুল এন্ড কলেজের এই আয়োজনে তাই শিশুদের সাথে মায়েদের দেখে খুব ভালো লাগছে। আপনারা যখন আপনাদের সন্তানদের শিক্ষা দেবেন তখন অবশ্যই তারা ভালো করবে। হয়ত কোনো একটি পরীক্ষায় কারো ফল খারাপ হতে পারে। তবে সেটাই সব নয়। এই ব্যর্থতাকেই সাফল্যে রূপ দেয়া সম্ভব। প্রতিটি শিশুর মধ্যে যে মেধা ও বিশেষ কোনো বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা আছে সেটাকে পরিচর্যা করলেই প্রতিটি শিক্ষার্থী অবশ্যই পেশা জীবনে সফল হবে।
মোহাম্মদ ইলিয়াছ ফারুকী সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র শিক্ষক রুবেল বড়ুয়া, পারভীন আক্তার, ইসরাত জাহান, সাবিনা আক্তার, জান্নাতুল মাকাম মহিমা। আলোচনা পর্ব শেষে প্রতিটি শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফলাফল ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সবশেষ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করা হয়।#