আপডেটের সময়ঃ আগস্ট ২৮, ২০২২
‘সাহিত্য কিংবা চিন্তাচর্চার মাধ্যম হচ্ছে আড্ডাচর্চা, প্রচুর দরকার আড্ডার। চট্টগ্রামের এই আড্ডার পার-আড্ডারু ছিলেন অরুণ দাশগুপ্ত। তিনি আড্ডার মধ্যমণি, আমাদের ‘দামণি’। সাহিত্যের আখড়ায় তিনি আয়োজক, অন্দোলক, তিনিই উচ্চারক।’ গত ২৫ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ৭টা চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অরুণ দাশগুপ্ত স্মৃতি পর্ষদের উদ্যোগে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় সাংবাদিক ও কবি অরুণ দাশগুপ্তের স্মৃতিসভায় বক্তারা একথা বলেন।
তারা আরো বলেন, ‘যুগপৎ সাহিত্যের ধারায় ধ্যানের সাহিত্য, মগ্ন হয়ে যাওয়া উৎকর্ষতার ভাবনাই মুখ্য। সেখানে অরুণ দাশগুপ্ত অনেক বেশি ক্ষিপ্রগতির সাহিত্যমগ্ন মানুষ ছিলেন। তার লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধ পড়লেই সাহিত্য-সংস্কৃতির বিস্তর-ভাবনায় অগাদ পাণ্ডিত্যের পরিচয় পাওয়া যায়। প্রাজ্ঞ এ সাহিত্যিকের প্রাণিত উদ্দীপনাই এই অঞ্চলের সাহিত্যকে দিয়েছে প্রাণ।’
এই স্মৃতি আয়োজনে কথামালা ও কবিতাপাঠে অংশ নেন অধ্যাপক মোহীত উল আলম, কবি ও সাংবাদিক রাশেদ রউফ, ড. ইলু ইলিয়াস, কবি কামরুল হাসান বাদল, কবি আশীষ সেন, প্রকাশক ও ইতিহাস গবেষক জামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, কবি বিজন মজুমদার, কবি আকতার হোসাইন, কবি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, নাট্যজন, কবি ও লালন গবেষক স্বপন মজুমদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আব্দুল হালিম দোভাষ, সংস্কৃতিজন সজল চৌধুরী, ছড়াকার মোদাচ্ছের আলী, কবি বিদ্যুৎ কুমার দাশ ও কবি আলী প্রয়াস।
শুরুতে সংগীত পরিবেশন করেন সংগীত ভবন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি। আবৃত্তি শিল্পী মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন কবি মনিরুল মনির। কবি অরুণ দাশগুপ্তের কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী অঞ্চল চৌধুরী, মিলি চৌধুরী, রাশেদ হাসান, কংকন দাশ, ফারুক তাহের ও প্রণব চৌধুরী। এসময় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সাহিত্য ও সংস্কৃতিকর্মিগণ।#