কলকাতায় উদ্‌যাপিত বাংলাদেশের বিজয় দিবস

৫২তম বিজয় দিবস।

এখন চট্টগ্রাম ডেস্ক।

আপডেটের সময়ঃ ডিসেম্বর ১৬, ২০২২

কলকাতায় যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্‌যাপিত হয়েছে বাংলাদেশের ৫২তম বিজয় দিবস। দিনটি সাড়ম্বরে পালন করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কলকাতার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডও। পূর্বাঞ্চলীয় সেনা সদর কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে আয়োজিত সেনাবাহিনীর এই বিজয় দিবসে বাংলাদেশ থেকে যোগ দেন ৬০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, তাঁদের পরিবার, সেনা কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবার-পরিজন।

কলকাতার পূর্বাঞ্চলীয় সেনা সদর দপ্তর ফোর্ট উইলিয়ামে শুক্রবার সকালে বিজয় দিবসের সূচনা হয়। এ সময় ভারতের সেনাবাহিনী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের যোদ্ধাদের লড়াইকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে এবং এই মুক্তিযুদ্ধে দুই দেশের শহীদ বীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দিবস স্মরণে ফোর্ট উইলিয়ামে গড়া বিজয় স্মারক স্তম্ভে পুষ্পস্তবক দেন বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ দুই দেশের সেনা কর্মকর্তারা।

তাঁদের মধ্যে ছিলেন ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর পি কালিতা, বাংলাদেশের পক্ষে মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রশীদ, লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, ভারতের সাবেক বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অরূপ রাহা প্রমুখ দুই দেশের সেনা কর্মকর্তারা।

শহীদদের প্রতি পুষ্পমাল্য অর্পণের পর ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি আর পি কালিতা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনার সঙ্গে বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিরলস সংগ্রামের কথা উল্লেখ করেন।  তিনি বলেন, ‘এই যুদ্ধে পাকিস্তানিদের পরাস্ত করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। আজকের দিনে সেই সব বীর সেনা আর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বলিদান আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি।’
এই অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয় দেশাত্মবোধক গান।

এদিকে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনও শুক্রবার বিজয় দিবস উদ্‌যাপন করে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে। সকালে উপহাইকমিশন চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে  শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে দিনের সূচনা হয়। দিনটির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস।

বিকেলে আলোচনা সভার শুরুতে এই দিন উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা । বর্তমান পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আলোচনা করেন কলকাতা ও ঢাকার বিশিষ্টজনেরা। এরপর বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় আবৃত্তি পাঠের অনুষ্ঠান।