জীবনে সাফল্যের চূড়ায় উঠতে হলে স্বপ্ন দেখতে হবে

আনন্দী সঙ্গীত একাডেমির পন্ডিত বিজন চৌধুরীর স্মরণানুষ্ঠান

এখন চট্টগ্রাম ডেস্ক।

আপডেটের সময়ঃ সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩

আনন্দী সঙ্গীত একাডেমির পন্ডিত বিজন চৌধুরীর স্মরণানুষ্ঠানে এম. এ মালেক দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেছেন, জীবনে সাফল্যের চূড়ায় উঠতে হলে স্বপ্ন দেখতে হবে।

একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেছেন, গুণী মানুষকে যোগ্য সম্মান না করলে গুণী জন্মাবে না। পন্ডিত বিজন চৌধুরী এমনই একজন গুণী ব্যক্তি, যিনি আজীবন সুরের সাধনা করে গেছেন। তিনি প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে তিনি সুরের সাধনায় নিজেকে নিমগ্ন রেখেছেন। তাঁর জীবনের সুর ছিল তবলার তালে বাঁধা। তাঁর জাদুকরি হাতের বাদনে রীতিমতো তবলায় বোল ফুটতো। তাঁর মোহনীয় তবলা বাদনে নেচে উঠতো শ্রোতার হৃদয়। সংগীতের মঞ্চ থেকেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনি। এমন সুর সাধনায় মৃত্যু ইতিহাসে বিরল। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে চির ভাস্বর হয়ে থাকবেন পন্ডিত বিজন কুমার চৌধুরী।

 

থিয়েটার ইনিস্টিটিউটে আনন্দী সঙ্গীত একাডেমির উদ্যোগে পন্ডিত বিজন কুমার চৌধুরীর ৮৪ তম জন্মদিন ও নবম প্রয়াণ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দুইদিনব্যাপী স্মৃতিচারণ ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতানুষ্ঠানের ১ম দিনে উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

 

এম এ মালেক বলেন, জীবনে সাফল্যের চূড়ায় উঠতে হলে স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্ন দেখার সাধটুকু বাঁচিয়ে রাখতে হবে। যেকোনো কাজে লেগে থাকতে হবে। আমার একুশে পদক প্রাপ্তি তারই ফসল। সাংবাদিকতায় লেগে ছিলাম কিছু প্রাপ্তির আশায় নয়। প্রাপ্তির আশায় কিছু করলে সে আনন্দ উপভোগ করা যায় না। তিনি আনন্দী সঙ্গীত একাডেমির প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মা, বাবা ও শিক্ষক নিঃস্বার্থভাবে তোমাদের জন্য করে যান। তাদের কথা অনুযায়ী কাজ করলে জীবনে তোমরা সফল হবেই।

 

স্মৃতিচারণের আগে পন্ডিত বিজন কুমার চৌধুরীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আনন্দী সঙ্গীত একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শিল্পী রাজু দাশগুপ্ত। সভাপতিত্ব করেন আনন্দী সঙ্গীত একাডেমির সভাপতি গীটার শিল্পী বিশুতোষ তালুকদার। আবৃত্তিজন রাশেদ হাসান ও তুর্ণা বড়–য়ার সঞ্চালনায় শুরুতে তবলার লহড়া নিয়ে আসেন আনন্দী সঙ্গীত একাডেমি ছাত্র-ছাএীবৃন্দ। পরিচালনায় ছিলেন শিল্পী সুরজিৎ সেন।

 

এর পরে মঞ্চে আসেন জৈনপুরী রাগে সেতার পরিবেশন করেন রোজী সেন। তাকে তবলা সহযোগিতা করেন সুশান্ত কর চৌধুরী, শিল্পী প্রিয়তোষ বড়ুয়ার পরিচালনায় ভায়োলিনিষ্ট’স চট্টগ্রাম-এর শিল্পীরা বিভিন্ন রাগরাগিণী পরিবেশন করেন। পরে শিল্পী ইমন রাগে খেয়াল পরিবেশন করেন। তবলায় সঙ্গত করেন রাজীব চক্রবর্তী। তানপুরায় আনন্দি সেন তিথি, হারমোনিয়ামে রাজীব দাশ, এরপর মঞ্চে আসেন শিল্পী জহর মুখার্জি। তিনি সরস্বতী রাগে খেয়াল পরিবেশন করেন। তার সাথে তবলায় সঙ্গত করেন শিল্পী রতন দত্ত, তানপুরায় অমলেন্দু রাহা।# বিজ্ঞপ্তি