আপডেটের সময়ঃ মে ২১, ২০২৩
বাঙালির যাপিত জীবনাচরণের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গান অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে। রবীন্দ্রনাথ বাঙালীর জীবনে অনন্ত প্রেরণার উৎস। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অনেক কিছুরই প্রথম রূপকার তিনি। তার হাত ধরেই বাংলা সাহিত্যে নতুন যুগের সৃষ্টি হয়।
বাংলা গদ্যের আধুনিকায়নের পথিকৃৎ রবিঠাকুর ছোটগল্পেরও জনক। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, নতুন নতুন সুর ও বিচিত্র গানের বাণী, দার্শনিক চিন্তাসমৃদ্ধ প্রবন্ধ, এমনকি চিত্রকলায়ও রবীন্দ্রনাথ চিরনবীন, চিরঅমর। রবীন্দ্রনাথ আজও আমাদের মনমানসিকতা গঠনের, চেতনার উন্মেষের প্রধান অবলম্বন। বাংলা সাহিত্যকে তিনি বিশ্বের দরবারে বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন।
বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখার আয়োজনে বৃহস্পতিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্থার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ড. মকবুল হোসেন এসব কথা বলেন।
আবৃত্তিজন প্রবীর পালের সঞ্চালনায় শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা লাকী দাশ। উপদেষ্টা তুষার কান্তি বড়ুয়া, সভাপতির বক্তব্য রাখেন ড. আনোয়ারা আলম। আলোচনা পর্বের শুরুতে প্রধান অতিথিকে সাথে নিয়ে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন। শুরুতে সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় “হে নুতন দেখা দিক আরবার”, “বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি”, “আমার মুক্তি আলোয় আলোয়”, “প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে”।
দলীয় পরিবেশনা শেষে শিল্পীরা একক, দ্বৈত ও ত্রয়ী গান পরিবেশন করেন। লাকী দাশের সঙ্গীত পরিচালনায় শিল্পীরা ছিলেন ড. মকবুল হোসেন, লাকী দাশ, মুন্নি চক্রবর্ত্তী, রুমা মিত্র, বর্ণালী দাশ, সনজিতা ভট্টাচার্য্য, শ্যামলী বড়ুয়া, মোঃ মহিউদ্দিন, বহ্নিশিখা রক্ষিত, অনিমেষ বড়ুয়া, সুবর্ণা ধর, পূজা ধর, শুভাগত চৌধুরী, বনানী শেখর রুদ্র, শীলা চৌধুরী, দোলন চাপা বড়ুয়া, চুমকি চন্দ, রিনি পালিত প্রমুখ। যন্ত্রানুসঙ্গে ছিলেন, কিবোর্ডে সৃজন রায়, তবলায় পলাশ দেব, বেহেলায় শ্যামল চন্দ্র দাশ ও পারকিউশনে ফারুক। সবশেষে শুভ্রা সেনগুপ্তার পরিচালনায় নৃত্যনাট্য “চিত্রাঙ্গদা” পরিবেশিত হয়।