আপডেটের সময়ঃ অক্টোবর ২৬, ২০২২
‘সদারঙ্গ উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিষদ বাংলাদেশ’ -এর উদ্যোগে আগামী ২৭ অক্টোবর ২০২২ তারিখ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় ‘থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম’ এ সদারঙ্গের প্রতিষ্ঠাতা, উচ্চাঙ্গ সংগীত বিষয়ক লেখক-গবেষক-সংগঠক ও দেশ-বিদেশের নন্দিত উচ্চাঙ্গ সংগীত শিল্পী ও গুরু পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্ত্তী’র উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিবেশনার আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুগ্মসচিব ও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, কক্সবাজার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন উপমহাদেশের খ্যাতিমান তবলাগুরু পণ্ডিত সমর সাহা, বিশেষ অতিথি হিসাবে থাকবেন শাব্বির ইকবাল, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ, চট্টগ্রাম; মাহফুজা আক্তার, জেনারেল ম্যানেজার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্র ও বিশিষ্ট সারেঙ্গী শিল্পী উস্তাদ আল্লারাখা কলাবন্ত। অনুষ্ঠানটি সকলের জন্য উন্মুক্ত।
পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্ত্তী:
বাংলাদেশের যশশ্রী উচ্চাঙ্গ সংগীত শিল্পী, পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্ত্তী ভারতীয় রাগ সংগীতে বিশেষ মর্যাদা অর্জন করেছেন। উপমহাদেশের উচ্চাঙ্গ সংগীত তাঁর প্রধান একাগ্র সাধনা ও অনুশীলনের বিষয়। জন্ম ২৩ জুলাই ১৯৬৯ খ্রি. চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে। পিতার নাম প্রয়াত হরিরঞ্জন চক্রবর্ত্তী এবং মাতার নাম প্রয়াত সুনীতি চক্রবর্ত্তী। সংগীতে তাঁর প্রথম শিক্ষাগুরু পিতা প্রয়াত হরিরঞ্জন চক্রবর্ত্তী। পরবর্তীতে শিক্ষক, স্বনামধন্য সংগীত গুণী উস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া, সংগীত আচার্য প্রফুল্ল কুমার সেন, সুবোধ গাঙ্গোপাধ্যায় এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয় সংগীত গুরু পণ্ডিত অরুণ ভাদুরী।
রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্মাতক ও স্মাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনের পর বর্তমানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পি.এইচ.ডি. গবেষণায় নিযুক্ত। বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বেতারের শাস্ত্রীয় সংগীতের বিশেষ ক্যাটাগরি শিল্পী। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, দিল্লী ও নেপালের কাঠমুন্ডুতে তাঁর মনোজ্ঞ পরিবেশনা সুধীজন ও শ্রোতাদের সবিশেষ প্রশংসা অর্জন করেছেন। বৃহত্তর শ্রোতৃসমাজে শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রচার প্রসারের উদ্দেশ্যে কতিপয় সংগীতানুরাগীদের নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘সদারঙ্গ উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিষদ বাংলাদেশ’। দুই দশকের অধিক সময় এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও কর্ণধার রূপে ঐকান্তিক নিষ্ঠার সাথে বহুবিধ সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
উচ্চাঙ্গ সংগীত বিষয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন। এই বিষয়ে প্রবন্ধ সংগ্রহ ‘সংগীত কথকথা’ এই নামে গ্রন্থাগারে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রাথমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সংগীতকে বাধ্যতামূলক বিষয় হিসেবে পাঠ্যসূচিতে আননয়নে যে আন্দোলন তাঁর অন্যতম পুরাধা ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্ত্তী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত বিভাগ প্রতিষ্ঠার তিনি অন্যতম উদ্যোক্তা এবং তিনি এই বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক।
উচ্চাঙ্গ সংগীতের জন্য একাধিক সম্মাননা তাঁর জীবনের উজ্জ্বল, কীর্তিময় অধ্যায়। তারমধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হল: ২০১৩ সালে প্রাপ্ত রায়পুর মধ্যপ্রদেশে গুনু রসপিয়া সংগীত সম্মাননা, ২০১৪ সালে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রদত্ত পুরষ্কার এবং ২০১৫ সালে কলামণ্ডল সংগীত মহাবিদ্যালয়ের সম্মাননা।
উচ্চাঙ্গ সংগীতের প্রতি আপোষহীন সনিষ্ট নিবেদিত চিত্ত, সাধনার জন্য তিনি দেশের অন্যতম প্রধান উচ্চাঙ্গ সংগীত শিল্পী হিসেবে সুপরিচিত। তাঁর স্মরণীয় একক পরিবেশনার মধ্যে রয়েছে, গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশন কোলকাতা, ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল কাউন্সিল ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস, ছায়ানটের শুদ্ধ সংগীত সম্মেলন, কাঠমুন্ডুতে নেপাল-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক বন্ধুত্বসূচক অনুষ্ঠান।
ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক স্টুডেন্টস্ ফোরাম -এর পৃষ্ঠপোষকতায়, দিল্লী-র SIDDHA থেকে তাঁর প্রথম ডিভিডি প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালে। ২০১৯ সালে কোলকাতাস্থ BIHAN MUSIC থেকে বের হয় Moon to Sun শীর্ষক অডিও সিডি।##- বিজ্ঞপ্তি