আপডেটের সময়ঃ ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২
শনিবার দুপুরে দুইজনকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আনা হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান তারিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, “দুপুর দেড়টার দিকে তাদের কারাগারে আনা হয়। ফাঁসির আসামিরা যেখানে থাকেন তাদের সেখানে রাখা হয়েছে।“
চট্টগ্রামের আদালতে প্রদীপের বিরুদ্ধে করা দুদকের একটি মামলার বিচারকাজ চলমান রয়েছে।
গত ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল তার আদেশে দুজনের মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও সিনহাকে হত্যায় সহযোগিতা এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের তিন সোর্সকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
মামলার ১৫ আসামির মধ্যে বাকি চার পুলিশ সদস্য এবং তিন এপিবিএন সদস্যকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
আদেশের পর থেকেই সাজাপ্রাপ্তরা কক্সবাজার জেলা কারাগারে ছিলেন। আর খালাসপ্রাপ্তরা ওইদিন রাতেই মুক্তি পান।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেলার নেছার আহমেদ বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রদীপ কুমার ও লিয়াকত আলীকে একটি প্রিজন ভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। মূলত নিয়ম মেনে ও নিরাপত্তার কথা ভেবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় পাঠানো হয়েছে।”
“এখানে আরও ছয় যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি রয়েছেন। তাদের আপিলের জন্য আরও এক সপ্তাহ সময় রয়েছে। আপিলের সময় তাদেরও চট্টগ্রামে পাঠানো হবে”, যোগ করেন জেলার।
করোনাভাইরাস মহামারীর শুরুর দিকে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় সিনহা মো. রাশেদ খানকে।
তিনি ছিলেন সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর, যিনি স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার পর একদল তরুণকে সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণ বিষয়ক তথ্যচিত্র বানানোর জন্য কক্সবাজারে গিয়েছিলেন।
ওই হত্যাকাণ্ডের পর বেরিয়ে আসে, মিয়ানমার সীমান্তবর্তী টেকনাফে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে কীভাবে বন্দুকযুদ্ধ সাজিয়ে খুন করে যাচ্ছিলেন পোশাকী বাহিনীর কর্মকর্তা প্রদীপ।
তথ্যচিত্র নির্মাণে কক্সবাজারে গিয়ে সিনহা ও তার সঙ্গীরা টেকনাফের নিরীহ মানুষের উপর ওসি প্রদীপের ‘অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়নের কাহিনী’ জেনে গিয়েছিলেন। এরপর বিপদ আঁচ করতে পেরে প্রদীপের পরিকল্পনায় সিনহাকে হত্যা করা হয়। প্রদীপের নির্দেশে সিনহাকে গুলি করেন লিয়াকত। বাকিরা তাদের সহযোগিতা করেন।