আপডেটের সময়ঃ মার্চ ২০, ২০২২
দেশে ভোগ্য পণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলা কমিটি। শুক্রবার বিকেলে নগরীর পুরাতন রেল স্টেশন প্রাঙ্গনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনতে এবং দেশে পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানানো হয়েছে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, যে কোনো অজুহাতে দেশে ভোগ্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। তেল, চাল, ছোলা, গমসহ বিভিন্ন পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ দেশে থাকার পরেও একের পর এক পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। টিসিবি’র ট্রাকে দীর্ঘ হচ্ছে মানুষের লাইন। একটু কম দামে পণ্য কেনার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও মানুষ পণ্য নিয়ে ফিরতে পারছে না। এর উপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অজুহাতে ভোগ্য পণ্যের দাম আরও কয়েক দফা বেড়েছে। অথচ এ যুদ্ধের প্রভাব দেশে উৎপাদিত পণ্যে বা বেশিরভাগ ভোগপণ্যে পরার কথা নয়। কয়েকটি সিন্ডিকেট কারসাজি করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে গরিব মেহনতি মানুষের পকেট কাটছে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কার্যকর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। খরচ কমিয়েও প্রয়োজনী ভোগ্যপণ্য কিনতে পারছে না সাধারণ মানুষ। দাম বৃদ্ধি এখন যে পর্যায়ে আছে তা সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এরপর মধ্যবিত্তের পক্ষেও আর প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য কেনা কঠিন হবে। শুধু উচ্চ বিত্তরা কিনে খেতে পারবে। এই অবস্থায় সিন্ডিকেটের লাগাম না চানলে আসন্ন রমজানে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। শ্রমজীবী মেহনতী মানুষের জীবন ধারণের নূন্যতম যোগান দিতে সারা বছরের জন্য পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। তা না হলে বছরের একেক সময় একেক পণ্যের দাম বাড়িয়ে সিন্ডিকেট মানুষকে জিম্মি করবে। পূর্ণাঙ্গ রেশনিং ব্যবস্থাই পারে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে।
ওয়ার্কার্স পার্টির চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু হানিফেরে সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনসুর মাসুদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মোক্তার আহম্মদ, শ্রমিক নেতা আবদুল খালেক, যুব মৈত্রীর জেলা সাধারন সম্পাদক খোকন মিয়া, ছাত্রমৈত্রীর জেলার আহ্বায়ক আলাউদ্দিন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা ফয়েজ আহমদ, জেলা কমিটির সদস্য শামসুল আলম, সুপায়ন বড়ুয়া, শিবু কান্তি দাশ ও যুব মৈত্রীর সভাপতি মোহাম্মদ মহসিন।