আপডেটের সময়ঃ জুলাই ১৬, ২০২২
বীর মুক্তিযোদ্ধা নৌ কমান্ডো আবু মুসা চৌধুরী নাগরিক শোক সভা কমিটি গঠিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেনকে চেয়ারম্যান এবং বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজীকে সদস্য সচিব করে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা, নৌকমান্ডো আবু মুছা চৌধুরী নাগরিক শোক সভা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় আবু মুসা চৌধুরী বীরত্ব ও বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়।
৮ জুলাই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হাইদচকিয়া গ্রামের মহব্বত আলী মুন্সী বাড়িস্থ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আবু মুসা চৌধুরী । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা চৌধুরীর মৃত্যুতে ৮ জুলাই এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে আবু মুসা চৌধুরীর অবদান জাতি চিরকাল কৃতজ্ঞতার সঙ্গে মনে রাখবে।”
১৯৭১ সালের ২ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরে গ্রিসের পতাকাবাহী তেলভর্তি জাহাজ এমটি অ্যাভলুজ ধ্বংসের পর পাক হানাদার সরকার আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক জবাবদিহিতার মুখে পড়ে। বহির্বিশ্বে প্রচার হয়, পাকবাহিনী বাঙালিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলেছে।
নৌ কমান্ডো আবু মুসা চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে এটিসহ ছয়টি সফল নৌ অপারেশন করেন। অ্যাভলুজ তাঁর তৃতীয় অপারেশন। প্রথম অপারেশন ১৪ আগস্টের অপারেশন জ্যাকপট, দ্বিতীয় অপারেশন আউটার অ্যাঙ্কর। অ্যাভলুজের পর বুড়িগঙ্গা-ধলেশ্বরী মোহনায় এমভি তুরাগ ধ্বংস, নারায়ণগঞ্জ বিশ্ব গোডাউনের সামনে জাতিসংঘের রসদবাহী জাহাজ মিনি লেডি ও মিনি লায়ন ধ্বংস এবং কাঁচপুর ফেরি ও পন্টুন উড়িয়ে দেওয়ার অভিযানে ছিলেন অন্যতম বীর। এসব নৌ অপারেশন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
নৌ কমান্ডো হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সময় আবু মুসা ছিলেন দশম শ্রেণীর ছাত্র। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৬ বছর। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার হাইদচকিয়ার ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কর্মী মরহুম সুলতান আহমদ চৌধুরী ও নফিজা খাতুনের কনিষ্ঠ পুত্র তিনি।#