আপডেটের সময়ঃ ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২২
দিনে হালকা রোদ আর রাতে বেশ ঠান্ডা। সন্ধ্যা নামতেই শুরু কুয়াশার দাপট। চলতি সপ্তাহের শুরুতে বৃষ্টির পর থেকেই এমন আবহাওয়া চলছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৌসুমের শেষ প্রান্তে এসে আবার ঝরতে পারে বৃষ্টি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে একটি মেঘমালা প্রবেশ করতে পারে। এর প্রভাবে দেশের অনেক এলাকায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আকাশে মেঘ থাকতে পারে। এরপর বসন্ত আগমনী বাতাস শুরু হতে পারে।
গত শুক্র ও শনিবারের বৃষ্টির পর রোববার থেকে সারা দেশে তাপমাত্রা দুই থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যায় বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর জের ধরে রংপুর বিভাগ ও দেশের পাঁচটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের অন্যান্য এলাকাতেও শীত বেড়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, মঙ্গলবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে তাতে শীতের দাপট অন্তত রাতের বেলা খুব বেশি কমবে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, মেঘমুক্ত আকাশ থাকায় কয়েক দিন ধরে শীতের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হতে পেরেছে। তবে দুই-এক দিনের মধ্যে পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে আবার মেঘ আসতে পারে। ফলে তাপমাত্রা বেড়ে শীতের প্রভাব কমে আসতে পারে। আগামী দুই-তিন দিনের মাথায় দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মোস্তফা কামাল। তাঁর পর্যবেক্ষণ বলছে, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে একটি মেঘমালা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওপর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। তা পর্যায়ক্রমে ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এই মেঘমালার মূল অংশ অতিক্রম করতে পারে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের ওপর দিয়ে। জেলাগুলোয় ১০ থেকে ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সোমবার দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীর তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কিছুটা বেশি রেকর্ড করা হয়েছে।