ভুবনজোড়া আসনখানি

জন্মজয়ন্তীকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ

এখন চট্টগ্রাম ডেস্ক।

আপডেটের সময়ঃ মে ১৩, ২০২২

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সংস্থা চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখার আয়োজনে ‘ভুবনজোড়া আসনখানি’ শিরোনামে কথামালা, সম্মাননা প্রদান ও সঙ্গীতানুষ্ঠান গত ১১ই মে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

 

সংগঠন সভাপতি শিক্ষাবিদ ড. আনোয়ারা আলমের সভাপতিত্বে ও আবৃত্তিজন আয়েশা হক শিমুর প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক জনাব এম. এ মালেক। মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বংশীবাদক ওস্তাদ ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম। এসময় মঞ্চে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার উপদেষ্টা প্রবীণ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী তুষার কান্তি বড়ুয়া, প্রধান সমন্বয়কারী কেশব জিপসী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক লাকী দাশ।

 

অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রদান করা হয় তিন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পীকে। এরা হলেন- শীলা মোমেন, আইরিন সাহা, ও শাশ্বতী তালুকদার।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম. এ. মালেক বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাঙালি জীবনে মিলেমিশে একাকার। রবীন্দ্রনাথ অমর ও অক্ষয়। তাইতো আমরা জন্মের ১৬১ বছর পরও তাকে আমরা স্মরণ করছি পরম শ্রদ্ধায়। যতদিন বাঙালি বেঁচে থাকবে, রবীন্দ্রনাথও বেঁচে থাকবে তার সৃজনকর্মে। উদ্বোধকের বক্তব্যে ওস্তাদ ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম বলেন, রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে তাঁর গানে কখনো বিদেশি বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার করতেন না। চিরায়ত বাদ্যযন্ত্রের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রসংগীত বাঙালির প্রতিনিয়ত দোলা দিয়ে যাচ্ছে। বাঙালি সুখে-দুঃখে বারবার ছুটে যায় রবীন্দ্রনাথে, আশ্রয় খুঁজতে। যত দিন বাংলা ও বাঙালি বেঁচে থাকবে, তত দিন কবিগুরুর নাম হৃদয়ে লেখা থাকবে।

 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সংস্থা চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখার শিল্পীরা সমবেত ও একক গান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে অতিথি শিল্পী হিসেবে সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী মীরা মন্ডল।