আপডেটের সময়ঃ ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২
তার নাম ইমরান হোসেন (১৯)। বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার নন্দিয়ারপাড়ায়, বাবার নাম শফিকুল ইসলাম।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে লুথারেন হাসপাতালে তাকে পাওয়া যায় বলে জানান তার বড় ভাই জাহাঙ্গির আলম।
তিনি জানান, ইমরান ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করছিলেন ব্রুকলিনের ফোর্থ অ্যাভিনিউতে অবস্থিত ‘পাপা জোন্স’-এ। ২০ জানুয়ারি বিকেলে ব্রুকলিনে চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড এলাকার বাসা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর আর ঘরে ফিরেননি তিনি।
ইমরানের হদিস চেয়ে পুলিশে রিপোর্ট করা হয়েছিল। সন্ধান চেয়ে প্রচারণা চালায় ‘বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতি’।
কয়েক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইমরানের হঠাৎ নিরুদ্দেশ হওয়ার খবরে ইতালি থেকে ছুটে আসেন বড় ভাই জাহাঙ্গির আলম। তিনি বলেন, “ইমরানকে খুঁজে পাওয়া গেলেও সে এখনও কথা বলতে পারেনি। মাথায় আঘাত আছে। কীভাবে এবং কেন এমন অবস্থা হয়েছে সেটি ইমরান কথা না বলা পর্যন্ত কেউই অনুমান করতে পারছে না।”
জাহাঙ্গির আরও জানান, মেক্সিকো হয়ে অবৈধপথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ইমরান। কিছুদিন ডিটেনশন সেন্টারে থাকার পর প্যারোলে মুক্তি পান। রাজনৈতিক আশ্রয়ও প্রার্থনা করেছেন কিছুদিন আগে। তবে সবকিছু ঝুলে রয়েছে।
ইমরানকে খুঁজে পাওয়ায় স্বস্তির কথা জানিয়েছেন সিটি কাউন্সিলওম্যান শাহানা হানিফ, কাজী ফৌজিয়া ও মাজেদা এ উদ্দিন। কাজী ফৌজিয়া জানান, এর আগে ৩ বাংলাদেশি ডেলিভারিম্যান হামলায় মারা গেছেন। তেমন পরিস্থিতিরই শিকার হলো কিনা ইমরান এমন আশঙ্কা করছিলেন সবাই।