শ্রমিক শ্রেণির ঐক্যই অধিকার আদায়ের পূর্বশর্ত- নওফেল


এখন চট্টগ্রাম ডেস্ক।

আপডেটের সময়ঃ মে ৮, ২০২২

শ্রমিক কর্মচারীদের ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে নওফেল শিক্ষা  উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমিক বান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রাপ্ত মজুরী ও শ্রমের দাম কড়ায়-গন্ডায় পরিশোধ করতে হবে। কারণ শ্রমিক শ্রেণি জাতীয় উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির হার সূচক বৃদ্ধিতে প্রধান অবলম্বন। তাদের শতভাগ স্বার্থ রক্ষা নিশ্চিত ও সামাজিক নিরাপত্তা সুরক্ষা হলেই দেশের পরিপূর্ণ অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব হবে।

 

তিনি আরো বলেন, শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে শ্রমিক শ্রেণির ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। তাই জাতীয় শ্রমিক লীগের ব্যানারে শ্রমিক শ্রেণির ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হলে তারা সবধরনের অর্থনৈতিক শৃঙ্খল মুক্ত হয়ে জীবনমান উন্নয়নে বড় ধরনের সফলতা অর্জন করবে।

 

শনিবার বিকেলে নগরীর ১৭নং, ১৮নং ও ১৯নং ওয়ার্ডের বাকলিয়া থানা শ্রমিক লীগের উদ্যোগে সিলভার প্যালেস কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত শ্রমিক-কর্মচারীদের মিলনমেলা ও ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে কুমিল্লা-নোয়াখালী-বরিশাল-ভোলা-কিশোরগঞ্জ সহ নানান প্রান্তের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষেরা জীবনজীবিকার জন্য যারা চট্টগ্রামে আসেন তাদের একটি বড় অংশই বৃহত্তর বাকলিয়ায় বসবাস করে থাকেন। তবে তারা অসংগঠিত। তাই তাদেরকে সংগঠিত করে জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের সার্বিক অধিকার আদায়ে নিজেদেরকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই দায়িত্ব পালনে চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগ নেতৃত্বকে সচেষ্ট হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

এই তিনটি ওয়ার্ডে ইউনিট পর্যায় থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যন্ত মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগ শ্রমিক শ্রেনির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে প্রস্তুত করতে কাজ করে যাবে এবং তৃণমূল স্তর থেকে ওয়ার্ড স্তর পর্যন্ত আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করা হবে। তিনি উল্লেখ করেন যে, বর্তমান সরকার করোনা কালে অর্থনৈতিক চাকাকে সচল রাখতে শ্রমিক ও মালিক কর্তৃপক্ষকে যথেষ্ট অর্থনৈতিক প্রণোদনা দিয়েছেন। এমনকি নানাভাবে করোনা অতিমারী সময়ে সামাজিক নিরাপত্তা বলয় বেষ্টনী করা হয়েছে। এছাড়াও নানাভাবে ভাতা প্রদান, সাহায্য সহায়তা সহ মানবিক সেবা প্রদান করা সম্ভব হওয়ায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশে মোটেও বড় ধরণের মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়নি।

 

নওফেল বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিক শ্রেণির মধ্যে জাতীয় উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে শ্রমিক শ্রেণির নারী সমাজের অংশটির যথেষ্ট অংশীদারিত্ব থাকলেও তারা পুরুষ শ্রমিকদের চেয়ে তুলনামুলকভাবে অনেকটা অবহেলিত ও বৈষম্যের শিকার। এই অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না কারণ তারাও মনুষ্য সমাজের সমান অংশীদার। তাদের জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সচেষ্ট। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন উন্নয়ন সহ নানাবিধ উৎপাদন কাজে যেহেতু নারীদের সমান অংশীদারীত্ব রয়েছে তাদের স্বার্থ সুরক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সবচেয়ে আশা- আকাঙ্খার বড় ভরসার স্থল। তিনি নিরাপদ থাকলে এবং বারবার ক্ষমতায় ফিরে আসলে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হয়েছে তার ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন থাকবে। নচেৎ আমরা আবারো পিছিয়ে পড়বো এবং সামগ্রিকভাবে জীবনমান অধপতিত হবে।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ প্রচার সম্পাদক ও ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহীদুল আলম, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: হারুন অর রশীদ হারুন, মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগ সিবিএ নন সিবিএ সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব আবুল হোসেন আবু, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শাহীনা আক্তার রোজী। বাকলিয়া থানা শ্রমিক লীগ নেতা আবদুল লতিফের সভাপতিত্বে ও সমিরুল ইসলাম তুহিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিটিসিএল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেল ইউনিয়ন সিবিএ সভাপতি সাবের আহমেদ, খাতুনগঞ্জ লোডিং আনলোডিং সভাপতি মো: ইব্রাহীম, চকবাজার নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মো: জাফর, মো: মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা বিদ্যু টেকনিসিয়ান সমিতির সভাপতি শাহজাহান ভূইয়া, ঘাট ও গুদাম শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজা মিয়া, চট্টগ্রাম বন্দর শ্রমিক নেতা মাহবুবুর রহমান লিংকন, পাহাড়তলী টেক্সটাইলের শাহাজাহান সাজু, এম জি রহমান দীপু, রেল শ্রমিক লীগের রাজেশ বড়–য়া, ইউনিলিভার শ্রমিক নেতা আবদুল মান্নান টিটু, গাজী ওয়্যারস এর হুমায়ন কবির আকাশ, যুবলীগ নেতা আমিরুল ইসলাম শানু, রফিকুল ইসলাম রবু, তাপস দাশ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, আবদুল্লাহ আল তানিম চৌধুরী, বাকলিয়া বাস্তুহারা সমিতির সভাপতি উত্তম কুমার সুশীল, সাধারণ সম্পাদক মো: সালাউদ্দিন, শ্রমিক নেতা আবদুল হাকিম, বাকলিয়া থানা জাতীয় শ্রমিক লীগ নেতা মো: আলাউদ্দীন, নুর ইসলাম, আলী আজগর, শহীদুল ইসলাম, মমতাজ উদ্দীন, মিজানুর রহমান, মো: সোহেল, জয়নাল, মো: রিমন, মো: ইসা, মো: মহসীন, মো: হারুন, মো: মানিক রাজ, মো: মানিক, আলমগীর, আলী হোসেন, আবদুর সাত্তার, মো: রুবেল, মো: কামাল, রহিমা আক্তার শামীম, আরজু আক্তার, ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক মানিক, মো: লিজান চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী প্রমুখ।