সদারঙ্গের ২৬তম জাতীয় উচ্চাঙ্গ সংগীত সম্মেলন সমাপ্ত


এখন চট্টগ্রাম ডেস্ক।

আপডেটের সময়ঃ ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩

মোহনীয় সুরের নিনাদে সমাপ্ত হলো সদারঙ্গের ২৬তম জাতীয় উচ্চাঙ্গ সংগীত সম্মেলন।

 

দুদিনব্যাপী সদারঙ্গের জাতীয় উচ্চাঙ্গ সংগীত সম্মেলন সমাপ্ত হলো – রয়ে গেলো সেতার, সরোদ, তবলা, বেহালা ও কণ্ঠের সুরের অনুপম অনুরণন।  দেশ -বিদেশের প্রায় ৫০ জন স্বনামধন্য উচ্চাঙ্গ সংগীত শিল্পী এ  সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।

 

দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের অন্তিম পর্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন – ড. বদিউল আলম উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার,
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, চট্টগ্রাম। সুরসপ্তক বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীবৃন্দের চতুরঙ্গ ও রাগমালা সম্মেলক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিবেশন পর্ব শুরু হয়। পরিচালনায় ছিলেন ফাল্গুনী বড়ুয়া। তবলা ছিলেন রাজীব চক্রবর্তী।

 

এরপর মারু-বিহাগ রাগে মুগ্ধ করেন আমেরিকা হতে আগত পন্ডিত রামকানাই দাশের দৌহিত্রী পারমিতা দাশ মুমু। তাঁর সুরেলা কণ্ঠ সাবলীল তান, বাট সেইসাথে ত্রিপুরা থেকে আগত পণ্ডিত শ্যামল দেবের পরিমিত তবলা সঙ্গত উপস্থিত শ্রুতিমন্ডলীকে সুরসাগরে অবগাহন করেন।

 

এরপর রাগেশ্রী রাগের করুণ নিনাদ ফুটিয়ে তোলেন রাজশাহীর আলমগীর পারভেজ সুমন। তাঁকে তবলায় সহযোগীতা করেন শিল্পী প্রশান্ত ভৌমিক। ওপার বাংলার উদীয়মান সরোদীয়া দীপ্তনীল ভট্টাচার্যের পরিবেশনার রেশ কাটতে – কাটতেই সম্মেলনের সমাপ্তী ঘটে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন শিল্পী তিথিনু মারমা।

এরপূর্বে প্রভাতী অধিবেশনে কিশোর – কিশোরী পর্বে রাগ সংগীত পরিবেশন করেন- অপরাজিতা চৌধুরী (বেহালা); মো: হোসাইন চিশতী (তবলা লহড়া); অনিন্দ্য দে (তবলা লহড়া); মনস্বিতা দে (কণ্ঠ); আদৃতা রুদ্র (কণ্ঠ)। সেমিনারে ‘তবলার একক বাদন ও সঙ্গত’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পণ্ডিত শ্যামল দেব।#- বিজ্ঞপ্তি