সুরের আবেশ ছড়ালেন শিল্পী লিটন দাশ


এখন চট্টগ্রাম ডেস্ক।

আপডেটের সময়ঃ মে ২৭, ২০২৩

মার্গীয় সংগীতের সুরের আবেশে মুগ্ধতা ছড়ালেন শিল্পী লিটন দাশ। নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে একক শাস্ত্রীয় ও উপ-শাস্ত্রীয় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেন শ্রুতিঅঙ্গন বাংলাদেশ স্টুডেন্টস ফোরাম। প্রিয়ম কৃষ্ণ দে ও প্রণিতা দেব এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন চবি’র উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. বেনু কুমার দে। তিনি বলেন, লিটন দাশ শুদ্ধ সংগীত চর্চার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে যে সুরের বিস্তার ঘটিয়েছেন তার থেকে আরো অনেক নতুন শিল্পীর জন্ম হবে।

বিশেষ অতিথি চ্যানেল আই বিভাগীয় প্রধান চৌধুরী ফরিদ বলেন, লিটন দাশ’র নেতৃত্বে শাস্ত্রীয় সংগঠনের জয়যাত্রা আরো প্রসারিত হবে। প্রধান অতিথি নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার এই আয়োজনের জন্য শ্রুতিঅঙ্গন বাংলাদেশ স্টুডেন্টস ফোরামকে সাধুবাদ জানান। ২য় পর্বের শুরুতে সকল অতিথিদেরকে সাথে নিয়ে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বোলনের সাথে সাথে প-িত স্বর্ণময় চক্রবর্তী রচিত ভৈরবী রাগে প্রধান গান “সপ্ত সুরের রঙ্গিন আকাশে থাকবো মোরা সারা জীবন” পরিবেশন করেন শ্রুতিঅঙ্গন স্টুডেন্টস ফোরামের শিল্পীবৃন্দ। তারপর মঞ্চে রাগ মারোয়া বিলম্বিত খেয়াল ও ত্রিতালে দ্রুত খেয়াল পরিবেশনার মধ্যদিয়ে একক পরিবেশনায় শুভ সূচনা করেন লিটন দাশ, রাগের করুন সুরের আবেশে শ্রোতাদের মুগ্ধ করলেন, যেমন সুরের আলাপে, তেমন গভীর বিস্তার ও তানে পরিপূর্ণ ছিল বিলম্বিত থেকে মধ্যলয় পর্যন্ত। তারপর ভৈরবী রাগে ভজন “তুম আজানা ভগবান” কিরোয়ানী রাগে রাগ প্রধান গান “কারে বা জানাই বল বেদনা আমার” আমি নতুনের অভিলাসী, বিলাসমানী টোড়ীরাগে, ভোরের শিশির হয়ে এক ফোঁটা সুখ যদি কুঁড়িয়ে পেতাম, আচার্য্য জয়ন্ত বোসের রচনায় “স্বপ্ন শুধু ফিরিয়ে আনে” পরিবেশনা এতই মনোমুগ্ধকর ছিল যে, দর্শক কিছুক্ষণ পর পর মুর্হুমুহু করতালির বন্যায় আনন্দে ভাসছিলেন।

বিরতির পর নজরুলের গান নিয়ে মঞ্চে আসেন লিটন দাশ, পিলু রাগে রাগ প্রধান গান “পিয়া স্বপনে এস নিরজনে”, মোর প্রিয়া হবে এসো রানী, আমার নহে গো ভালোবাসো মোর গান। কিরোয়ানী রাগে “ফিরিয়া যদি সে আসে” বিদেশী সুরে “নুরজাহান নুরজাহান” বাগেশ্রীরাগে গজল অঙ্গের “চেয়ো না সুনয়না আর চেয়ো না” ইসলামী সংগীত, “একোনো মধুর শরাব দিলে আল আরাবি সাকি” সর্বশেষ পরিবেশনা ছিল “আমি চির তরে দূরে চলে যাবো আমারে দেব না ভুলিতে” প্রায় ২ ঘন্টার পরিচ্ছন্ন পরিবেশনায় দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়। যন্ত্রানুঙ্গে ছিলেন, ‌বেহালায়-শ্যামল চন্দ্র দাশ, কিবোর্ডে-নিখিলেশ বড়ুয়া অক্টোপ্যাডে-রনি চৌধুরী, তবলায়-সমীর আচার্য্য ও রাজীব চক্রবর্ত্তী।