আপডেটের সময়ঃ ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২২
২২ নভেম্বর শিল্পীকে যখন শেষবারের মতো চারুকলা প্রাঙ্গণে আনা হয়েছিল, তখনো কুয়াশার চাদরে ঢাকেনি ঢাকা শহর। শীতের আমেজে জবুথবু হয়নি শহরের মানুষ। অগ্রহায়ণের স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে ছিল চারুকলার আঙিনাজুড়ে। তবু নবান্নের উৎসবকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত বকুলতলা শোকে যেন মুষড়ে পড়েছিল। সবার চোখে জল। তাঁদের পটশিল্পী রঘুদা আর কখনো আসবেন না চারুকলায়। অথচ তিনি চারুকলার ছাত্র বা শিক্ষক নন। ছবি আঁকায় নেই তাঁর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। মায়ের সঙ্গে আলপনা আঁকা থেকেই তাঁর শিল্পীজীবনের হাতেখড়ি। তার শেষযাত্রায় সাক্ষী ছিলেন সবাই। শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন সে সময়ের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। ছাত্র-শিক্ষক—সবার ভালোবাসায় সিক্ত হলেন বাংলার অন্যতম বিশিষ্ট পটশিল্পী রঘুনাথ চক্রবর্তী।
পটচিত্রকে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন শিল্পী রঘুনাথ চক্রবর্তী। ১৯৬৯ সালের ১ নভেম্বর গাইবান্ধার শনিমন্দির রোডে জন্মগ্রহণ করেন রঘুনাথ চক্রবর্তী।
পটচিত্রকে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন শিল্পী রঘুনাথ চক্রবর্তী। ১৯৬৯ সালের ১ নভেম্বর গাইবান্ধার শনিমন্দির রোডে জন্মগ্রহণ করেন রঘুনাথ চক্রবর্তী।
হাজার বছরের বাঙালি ঐতিহ্যের বাহক এই পটচিত্র। পৌরাণিক, সমসাময়িক বা লোকজ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠত বিভিন্ন সংগীত, মঙ্গলকাব্য অথবা পটচিত্র। মনসামঙ্গল, আনন্দমঙ্গল, কৃষ্ণলীলা ইত্যাদি গল্পগাথার গল্প ধারাবাহিক চিত্রায়ণ এই পটচিত্র। পটচিত্র ছিল এ উপমহাদেশের জনজীবনের আনন্দ, বিনোদন ও শিক্ষার অনন্য এক মাধ্যম।