মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আবুল বাশার জাতির কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন


এখন চট্টগ্রাম ডেস্ক।

আপডেটের সময়ঃ নভেম্বর ১২, ২০২৩

বাংলাদেশের শ্রমিক শ্রেণির মুক্তি আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে আবুল বাশার জাতির কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে বক্তারা মন্তব্য করেছেন।  বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, চট্টগ্রাম জেলা শাখা আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তারা এই মন্তব্য করেন।

 

বাংলাদেশের শ্রমিক শ্রেণির মুক্তি আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে আবুল বাশার জাতির কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ন্যূনতম মজুরির আন্দোলনের মুখে শ্রমিকদের বুকে গুলি চলছে তখন আবুল বাশারের মতো মহান নেতার অভাব সহজেই অনুমেয়। আবুল বাশারের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে শ্রমিকদের তাদের সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে হবে।

 

জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রথম সভাপতি কমরেড আবুল বাশারের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলা ও জাতীয় শ্রমিক ফেড়ারেশন চট্টগ্রাম যৌথভাবে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

 

১১ নভেম্বর শনিবার, বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম শহরের দোস্ত বিল্ডিংস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, চট্টগ্রাম জেলা কমিটি ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন এই স্মরণ সভার আয়োজন করে।

 

ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড অ্যাডভোকেট আবু হানিফ এর সভাপতিত্বে এবং জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান, জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মোখতার আহম্মদ, কুলদ্বীপ বড়ুয়া, শ্রমিক নেতা মকবুল আহম্মদ, নুর মোহাম্মদ মিলন ও ডা. কেরামত আলী।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্টি সম্পাদকমন্ডীর সদস্য ইন্দ্র কুমার নাথ, জেলা কমিটির সদস্য সুপায়ন বড়ুয়া,সংগঠক মো.মহসীন, খোকন মিয়া ও সঞ্জয় বড়ুয়া।

 

স্মরণ সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, নূন্যতম মজুরির আন্দোলনের মুখে শ্রমিকদের বুকে গুলি চলছে, তখন আবুল বাশারের মতো মহান নেতার অভাব সহজেই অনুমেয়। সম্প্রতি জাতীয় সংসদে পাশ হওয়া বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধীত ২০২৩) এ শ্রমিকদের সকল খাতে বিশেষ করে ইপিজেড এ ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরির দাবি অর্থাৎ পঁচিশ হাজার টাকার দাবি পূরণ না করে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে পুলিশ গুলি চালিয়ে শ্রমিক হত্যা করছে। শ্রমিক হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন, শ্রমিক হত্যা বন্ধ করুন। তাদের দাবি মেনে নিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশকে বজায় রাখতে সরকারের প্রতি আহবান জানান। বক্তারা একই সাথে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা পাটকলগুলো খুলে দিয়ে পাটকল শ্রমিকদের দাবীগুলো মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।

 

বক্তারা আবুল বাশারের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে শ্রমিকদের তাদের সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।- বিজ্ঞপ্তি