আপডেটের সময়ঃ ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভায় বেদার “স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস”আজ বিস্মৃতির অতলে নিমজ্জিত ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সামরিক স্বৈরাচার এরশাদের গণবিরোধী শিক্ষা নীতি প্রত্যাহার,দমন নীতি বন্ধ এবং গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবীতে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচীতে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে জাফর,জয়নাল,দীপালী সাহা,কাঞ্চনসহ আরো অনেকে এবং পরদিন চট্টগ্রামে মোজাম্মেলকে হত্যা করে।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে তাৎপর্যপূর্ণ এই ঐতিহাসিক দিনটি স্মরণে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম- বৃহত্তর চট্টগ্রামের উদ্যোগে (আজ সোমবার বিকালে) নগরের দোস্তবিল্ডিংস্থ কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান আলোচক ছিলেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার। সোহেল ইকবালের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশনেন আবদুল মালেক খান,দীপন দাশ, ডা:ফজলুল হক সিদ্দিকী,কামাল উদ্দিন,রাজীব চন্দ,নবী হোসেন সালাউদ্দিন,ইঞ্জিনিয়ার ইয়াকুব মুন্না,আশরাফ খান,মাহিদুল আলম,মিশু সেন,এস এম রাফি,ইয়াছিন আল উৎসব, বক্কর সিদ্দিকী,ইকবাল করিম,জিয়াউদ্দীন প্রমুখ।
সভায় প্রধান আলোচক বেদার বলেন;পঁচাত্তরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ড পরবর্তী একের পর এক অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী স্বৈরশাহীরা গনতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করেছিল।আর এই জান্তাদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের সূচনালগ্নে জীবন উৎসর্গকারী মহান শহীদদের অনন্য অবদান স্মৃতির অতলে নিমজ্জিত হতে চলেছে।গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দুঃসাহসী সংগ্রামে জীবন দানকারী জাতীয় বীরদের স্মৃতি সংরক্ষণে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ আজ সময়ের দাবী।