আপডেটের সময়ঃ মে ৮, ২০২২
আজ ২৫ শে বৈশাখ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী। পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতার বিখ্যাত জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে ১২৬৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মাতা সারদা দেবী। পরিবারের চতুর্দশ সন্তান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের হন্য ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। কবিগুরু তাঁর অতুলনীয় সৃজন প্রতিভায় বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বসাহিত্যের মর্যাদাপূর্ণ আসনে অধিষ্ঠিত করেন।
১৬০ বছর পেরিয়ে বাঙালির সংস্কৃতি ও জীবনে রবীন্দ্রনাথ চির জাগরুক। ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ রচনার বহু বছর পরেও বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে প্রেরণাদায়ী সেই প্রাণের সুরের রচয়িতা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বিশ্বকবির জন্মদিন সারাবিশ্বে বসবাসকারী বাঙালির জন্য এক আনন্দের দিন।
বিশ্বকবির রচনা সম্ভার বৈচিত্র্যে ভরপুর। কবিতা, সংগীত, উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, প্রবন্ধ, ভ্রমণ, শিশুতোষ রচনাসহ বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি শাখাই সমৃদ্ধ করেছে অনন্য মেধা-মনন ও সৃজনশীলতায়। প্রায় একক প্রচেষ্টায় তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে আধুনিক করে তুলেছিলেন। জীবনের শেষ পর্যায়ে চিত্রকলা চর্চায় মনোনিবেশ করে সেখানেও নিজস্বতার ছাপ রেখেছেন।
রবীন্দ্রনাথের রচনায় কেন্দ্রীয় বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে মানব, প্রকৃতি ও দেশপ্রেম। এখনো বাঙালি তার হৃদয়ের সব আবেগ-অনুভূতির ভাষা খুঁজে পায় রবীন্দ্রনাথের কালজয়ী রচনায়।
শুধু সাহিত্য নয় বিশাল বিস্তৃত কর্মময় জীবনে শিক্ষাবিস্তার, কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নসহ সমাজকল্যাণমূলক বহু কাজ তিনি করেছেন। নোবেল পুরস্কারের টাকা দিয়ে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা, সমবায় ব্যাংক, স্কুল, গ্রামে- গ্রামে পাঠশালা স্থাপন করে শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন।
বাংলা ও বাঙালির সাহিত্য, শিক্ষা, রাজনীতি, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, সঙ্গীত, চিত্রকলা, নাটক তথা সমস্ত জীবনব্যাপী আছেন রবি ঠাকুর। তাই তো প্রথাবিরোধী কবি ও লেখক হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন- ‘বাঙলার আকাশের নাম রবীন্দ্রাকাশ’।