শিল্পী লিটন দাশ’র একক শাস্ত্রীয়ও উপ-শাস্ত্রীয় সংগীতানুষ্ঠান


এখন চট্টগ্রাম ডেস্ক।

আপডেটের সময়ঃ মে ২৪, ২০২২

গত ২৩ মে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বর্তমান প্রজন্মের শাস্ত্রীয় ও উপশাস্ত্রীয় সংগীতে শ্রোতাপ্রিয়তা পাওয়া শিল্পী লিটন দাশ’র ৩৮তম জন্মদিন উপলক্ষে একক শাস্ত্রীয় ও উপশাস্ত্রীয় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে শ্রুতিঅঙ্গন বাংলাদেশ স্টুডেন্স ফোরাম, আবৃত্তি শিল্পী প্রবীর পালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপচার্য প্রফসর বেনু কুমার দে। তিনি বলেন, দেশের শাস্ত্রীয়সংগীতের ক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল নাম লিটন দাশ। যেখানে নতুন প্রজন্ম পশ্চিমা সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে মত্ত, সেখানে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে সঠিক প্রশিক্ষণ দিয়ে শাস্ত্রীয়সংগীতের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছেন যা সত্যিই প্রশংসনীয়।

প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. রনজিৎ কুমার চৌধুরী চেয়ারম্যান একাউন্টিং বিভাগ (চবি) বলেন, শাস্ত্রীয়সংগীত মানুষকে অনাবিল আনন্দ দেওয়ার পাশাপাশি মানুষের মনকে সমৃদ্ধ করে। তাঁর সুমিষ্ঠ কন্ঠে শাস্ত্রীয়সংগীত চির সজীব থাকুক। তিনি তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন কামনা করেন। ২য় পর্বের শুরুতে মঙ্গলদ্বীপ প্রজ্জোলন, উদ্বোধনী সংগীত ও কেক কাটার মাধ্যমে জন্মদিন পালন করেন আগত অতিথি ও তাঁর ছাত্রছাত্রীবৃন্দ। এরপর গানের ডালি নিয়ে মঞ্চে আসেন লিটন দাশ। শুরুতে রাত্রি ১ম প্রহরের রাগ শুদ্ধকল্যাণ পরিবেশন করেন। বিলম্বিত একতাল ও ত্রিতালে দ্রুত পরিবেশনা দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়। এরপর একে একে মিশ্রকাফী রাগে ঠুমরী, না যাওরে তুম পরদেশ পিয়া, দরবারী কানাড়া রাগে রাগপ্রধান গান, ঝনক ঝনক তোরী বাজে পায়েলিয়া, দাদরা, বরষণ লাগী সাবন বোঁধিয়া রাজা তোরে বিনা লাগে না মোরা জিয়া, সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমানের রচনায় বাংলা গজল, মানুষের সাহায্যে প্রসারিত হাত যার মরণেও পরেও মৃত্যু হয়না তার, দরবারী রাগে বাংলা গজল, ভালো লাগা আবেগ বন্দি করে রাখতে বল না। জাতীয় কবির রচনায় কিরোয়ানী রাগে ফিরিয়া যদি সে আসে। উস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে এবং শিরঞ্জনী রাগে, চলে গেছো সে যে কবে, প্রয়াত সুবীরনন্দীর পাহাড়ের কান্না দেখে তোমরা তাকে ঝর্ণা বল এবং সর্বশেষ চাঁদে কলঙ্ক আছে যেমন ভালোবাসায় বদনাম তেমন, গানটি দিয়েই শিল্পীর পরিবেশনা শেষ করেন।

হলভর্তি দর্শক শিল্পীর পরিবেশনা মুগ্ধ হয়ে শুনেন, এবং এই আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। যন্ত্রানুসঙ্গে ছিলেন কির্বোডে নিখিলেশ বড়–য়া, বেহালায় শ্যামল দাশ, অক্টোপ্যাডে সত্যজিৎ দে, তবলায় অনিক সেনগুপ্ত ও তিষাণ ঘোষ, বেস গিটারে মোঃ শাহজাহান।