কোথায় শুদ্ধতা, চেতনায় আত্মশুদ্ধি


এখন চট্টগ্রাম ডেস্ক।

আপডেটের সময়ঃ জুন ২৯, ২০২৩

সুমন ভট্টাচার্য্য

চেতনায় অবচেতন, খুঁজছি শুদ্ধতা, প্রয়োজন আত্মশুদ্ধি।

 

আমাদের চেতনায় ধ্রুব সত্য মানুষ মরনশীল। এ কঠিন সত্য কে বিশ্বাস করে, বাসযোগ্য পৃথিবীতে বাঁচতে, আধুনিক সভ্যতার মৌলিক অধিকারগুলো তো আমাদের আধুনিক সভ্যতা কে বহন করে। অথচ আধুনিক সভ্যতায় আধিপত্যবাদ এক অলিখিত মৌলিক সভ্যতার অবিচ্ছেদ্য অংশ বিশেষে পরিনত। এ দায় সমাজ ব্যবস্থায় ন্যাড়ো পুঁজিবাদীদের সৃষ্ট আধিপত্যবাদ মৌলিক অধিকার হিসেবে অলিখিত ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

 

এ আধিপত্যের মূল চালিকাশক্তি অর্থনৈতিক ভিত্তি। আর এ ভিত্তিকে শক্তিশালী করতে এক শ্রেণী ছুটছে পাগলা ঘোড়া দৌড়ে। মৌলিক অধিকারে অলিখিত সংযোজনের দায় কার?  কোথায় শুদ্ধতা, প্রয়োজন চেতনায় আত্মশুদ্ধি।

 

মৌলিক অলিখিত অধিকার আজ আমাদের নাগরিক জীবনের বাস্তবতা। এ বাস্তবতাকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা হারিয়ে ফেলছি সাম্যক সামাজিক নৈতিকতা।

 

এতে করে বাড়ছে নানা ধরনের অসংগতি। ফলে নেতৃত্ব ন্যাড়ো পূঁজিবাদের ধারা নিয়ন্ত্রিত। নতুবা এরাই মূল চালিকাশক্তি হিসেবে সমাজে রঙিন প্রচ্ছদে পৃথিবী কে তুলে ধরে বক্তৃতা দিচ্ছে সুধা আলোচনায় প্রধান অতিথির ধামাকা মর্যদায়।এখানে বিবেচ্য প্রধান অতিথি হওয়ার পেছনের সোজাসাপটা উত্তর প্রদেয় টাকার অংকের কোটায়।

 

একটি সমাজের নেতৃত্ব যখন ন্যাড়ো পূঁজিবাদ কে উৎসাহিত করে কোন একটি বাহ্যিক প্রয়োজন মেটাতে। ভিতরে তৈরি হয় ক্ষত।আর এ ক্ষত আমাদের চোখে পড়ে না হয়তো কিন্তু ব্যাথা অনুভূতির যন্ত্রণা থেকে পরিত্রান পাওয়া দুঃস্কর।

 

কবি শেখ শাদী গুনীর সমাদরের দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। যে সমাজে গুনীর সমাদর নেই, সে সমাজে গুনী জন্মাতে পারে না। অথচ এখন গুনী মানুষের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য টাকার অংকে বিবেচিত, সুতরাং গুনীজন কারা? গুনীজনরা কাঁদে আড়ালে আবডালে।

 

এর দায় একটি সমাজ ও তার সামাজিক ব্যবস্থায় বিশেষ সর্তক সংকেত। যে সংকেতের ভয়াবহ অবস্থা এমন গুনীজনদের রুপ দেখছে সমাজ। যেমনটি দেখেছে সতীদাহ প্রথার মত অমানবিক চিত্র। তাই বলে কি এ প্রথা থেকে বের হয়ে আসেনি সমাজ।

 

সভ্যতার ক্রমবিকাশ একদিনে তৈরি হয়নি। বহু জ্ঞানী মানুষের দীর্ঘ সময় সংগ্রামে অর্জিত হয়েছে সভ্যতার ক্রম বিকাশ। অথচ আজও পূর্ণতা পায়নি সভত্যা। এর দায় আজকের আধুনিক আধিপত্যবাদী সমাজ ব্যবস্থার। এ দায় মুক্তির পথ তৈরিতে পারিবারিক শিক্ষার বিকল্প নেই। একমাত্র পৃথিবীর সর্ববৃহৎ প্রাথমিক জ্ঞান অর্জনের পাঠশালায় হতে পারে সামাজিক মূল্যবোধে চেতনা শক্তির উৎস। সত্যিকার অর্থে আধুনিক সভ্যতার সমাজ গড়তে লড়তে হবে আধিপত্যবাদ, ন্যাড়ো পূঁজিবাদী আধুনিক সমাজের বিরুদ্ধে। লড়তে হবে সভ্য সমাজ গড়ার প্রত্যাশিত প্রত্যয়ে।

 

এ জন্যে প্রয়োজন নিজ নিজ ধর্মের মর্মবানী অনুধাবন।###

 

লেখক- সুমন ভট্টাচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সনাতনী কল্যাণ সংঘ।

(লেখকের মতামত নিজস্ব। এর দায় প্রকাশক ও সম্পাদকের নয়)।