খেলাঘর চেয়ারম্যন পান্না কায়সারের মৃত্যুতে খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটির শোক


এখন চট্টগ্রাম ডেস্ক।

আপডেটের সময়ঃ আগস্ট ৮, ২০২৩

সাবেক সাংসদ, খেলাঘর চেয়ারম্যন অধ্যাপিকা পান্না কায়সারের মৃত্যুতে খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটি শোক জানিয়েছে।

 

শিশু-কিশোর আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, সাবেক সংসদ সদস্য শহীদজায়া অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই।  শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান তিনি।

তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, সহ সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, সহ সভাপতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. বেণু কুমার দে, কবি আশীষ সেন, শিক্ষাবিদ অজিত আইচ, এড. শফিউল আলম, শিক্ষক নেতা অঞ্চল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোরশেদুল আলম চৌধুরী সহ খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটি ও শাখা আসর সমূহের নেতৃবৃন্দ। পৃথক পৃথক শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দরা বলেন, দীর্ঘ ৫ দশকের খেলাঘর আন্দোলনে অধ্যাপিকা পান্না কায়সারের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে। এদেশের শিশু কিশোরদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করার আন্দোলনে অধ্যাপিকা পান্না কায়সায় নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তাঁর এভাবে চলে যাওয়া শিশু কিশোর আন্দোলন অপূরণীয় ক্ষতি যা পূরণ হওয়ার নয়। নেতৃবৃন্দরা তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

 

উল্লেখ্য তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পান্না কায়সার শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের সহধর্মিণী এবং অভিনেত্রী শমী কায়সারের মা। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের একজন ঔপন্যাসিক, গবেষক ও জাতীয় সংসদের সাবেক সংসদ সদস্য। অধ্যাপক পান্না কায়সারের জন্ম ১৯৫০ সালের ২৫ মে। তার আরেক নাম সাইফুন্নাহার চৌধুরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর এই শহীদ জায়া শিক্ষকতা করেছেন বেগম বদরুন্নেসা কলেজে। ১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারজীবন স্থায়ী হয় মাত্র দুই বছর ১০ মাসের মতো। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর সদস্যরা শহীদুল্লা কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর তিনি আর ফেরেননি।

এরপর পান্না কায়সার একা হাতে মানুষ করেন তার দুই সন্তান শমী কায়সার ও অমিতাভ কায়সারকে। এ ছাড়া তিনি ১৯৭৩ সাল থেকে শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ১৯৯০ সালে তিনি এই সংগঠনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পান্না কায়সার ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখার জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন পান্না কায়সার। # বিজ্ঞপ্তি