আপডেটের সময়ঃ ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
`ভূবনজোড়া আসনখানি’ শীর্ষক কথালাপ ও একক সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ। গত শুক্রবার রাতে নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানমালায় ‘রবীন্দ্রনাথ, মুক্তিযুদ্ধ ও আমার সোনার বাংলা’ শীর্ষক কথামালায় অংশ নেন অনুবাদক আলম খোরশেদ।
আলম খোরশেদ বলেন, আমার সোনার বাংলা গানটির দীর্ঘ ইতিহাস আছে। শিলাইদহে জমিদারি কাজে আসার পরে পদ্মার বোটে চড়ে ঘুরে বেড়াবার সময় তিনি লোক গানের সুর, বাউল সঙ্গ লাভ করেন। তেমনি এক ডাকপিয়ন গগন হরকরার গলায় তিনি শুনতে পান ‘কোথায় পাব তারে’ গানটি। সেই রবীন্দ্রনাথ মনে এমন ভাবে গেঁথে গেল ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন চলাকালে তিনি সেই সুরে আমার সোনার বাংলা গানটি লিখেন।
তিনি আরও বলেন, যুব নেতা শেখ মুজিব যখন স্বাধিকারের দিকে ধীরে ধীরে এগুচ্ছিলেন সেই সময়ে প্রথম শান্তিনিকেতনে পড়তে যাওয়া মুসলিম ছাত্র আব্দুল আহাদকে এই গানটি বার বার গাইবার কথা বলতেন। ৬৬ এর আন্দোলনের সময় অন্য দুই খ্যাতিমান সংগীতজ্ঞ জাহিদুর রহিম, অজিত রায় এবং প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছায়ানট এই গান জনপ্রিয় করে তোলেন। যেকোনো সভা সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর আদেশ থাকত এই গান গাইবার।
আলম খোরশেদ বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের কালে স্বাধীন বাংলা বেতারে বার বার গাওয়া হতো আমার সোনার বাংলা। পরে ৭২ সালে এই গানকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় সংগীতের মর্যাদা দেওয়া হয়।
পরে একক সংগীতানুষ্ঠানে অংশ নেন প্রখ্যাত চিকিৎসক রজত কুমার বিশ্বাস, শিল্পী কেশব জিপসী ও শ্রাবণী দেববর্মন। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রেয়সী রায়ের পরিচালনায় সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন পরিষদের শিল্পীরা। # বিজ্ঞপ্তি